রাস্তায় এক নবজাতকের জন্ম দিয়েছেন মানসিক ভারসাম্যহীন এক প্রসূতি মা। সে সময়ে চিৎকার করে কাঁদছে সদ্য নবজাতকটি। তার পাশেই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলো ওই প্রসূতি মা। এই দৃশ্য অনেকই দেখে এগিয়ে আসেনি কেউ।
এদিকে ডিউটি শেষে থানা ফেরার সময় দৃশ্যটি দেখতে পায় পুলিশের একটি দল। দ্রুত এগিয়ে এসে মা ও নবজাতককে নিয়ে যান সদর হাসপাতালে। চিকিৎসক জানিয়েছে, বর্তমানে মা ও সদ্য নবজাতক দুইজনই সুস্থ রয়েছে।
সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনছারুল হক বলেন, ‘পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ টহল শেষে দুপুরের খাবার সময় আগে থানা ঢুকছিলাম। তখন একজন পথচারী বলল থানার উত্তর পাশে মানসিক ভারসাম্যহীন নারী বাচ্চা প্রসব করেছে। তখন বিষয়টি ওসিকে জানিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়; দেখি সদ্যনবজাতক শিশু কান্না করছে; আর মা অচেতন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অনেক লোক দেখছে; তবে কেউ এগিয়ে আসছে না। এরপর পার্শ্ববর্তী একটি দোকান থেকে পুরানো কাপড়-চোপড় ব্যবস্থা করি। তারপর দ্রুত টাকা বিনিময়ে দুইজন নারী নিয়ে এসে কাপড়-চোপড় পরিয়ে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়।
সন্ধ্যা ৬টার দিকে পুলিশের একটি টিম আসে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে। দেখা যায়, তাদের হাতে রয়েছে কিছু কাপড়ের প্যাকেট। পরে কথা বলে জানায় মানসিক ভারসাম্যহীন প্রসূতি মা ও সদ্য নবজাতকের জন্য নতুন কাপড় নিয়ে দেখতে এসেছেন বর্তমানে কেমন আছে। এসময় কথা হয় কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আনছারুল হকের সাথে।
এ সময় তিনি বলেন, ভারসাম্যহীন প্রসূতি মা তো কিছুই বলতে পারে না। তবে শহরের নুনিয়ারছড়ার কথা বলছে। তাই নুনিয়ারছড়ায় কিছু লোকজনকে সংবাদ দেয়া হয়েছে তার পরিচয় বের করার জন্য। তবে এখনো পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর ভারসাম্যহীন প্রসূতি মা ও নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ হলে পরবর্তীতে সবার সাথে আলাপ করে তাদের জন্য কি করা যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।