পুত্র সন্তান পেতে চেয়েছিল এক মহিলা। তার জন্য একটি চার বছরের ছেলেকে বলি দেয় সে ও তার শাশুড়ি। এই অপরাধে দু জনকেই মৃত্যুদণ্ড দিল বিহারের আদালত।
সোমবার গোপালগঞ্জে ৪০ বছরের সংকেশা দেবী ও তার ৬০ বছরের শাশুড়ি দুর্গাবতী দেবীকে এই সাজা শুনিয়েছেন ADJ-IV ল কুশ কুমার। ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। গোপালগঞ্জের বিজয়পুর জেলার চিতাউনাতে ঘটে এই ভয়াবহ ঘটনা। গত কয়েক দশকে দীর্ঘ দিন পর বিহারে এমন ঘটনা ঘটল, যখন কোনও মহিলাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হল।
সরকার পক্ষের আইনজীবী দেও বংশ গিরি ফোনে আমাদের জানিয়েছেন, ‘মৃত দেব কুমার সংকেশা ও দুর্গাবতীর ক্যাম্পাসেই থাকত।’ শাশুড়ির সাহায্য নিয়ে সংকেশা তার বেডরুমে দেবকে গলা কেটে বলি দেয় এবং বাড়ি থেকে কয়েক মিটার দূরত্বে ঘাসের নীচে তার দেহ লুকিয়ে রাখে। দেবের বাবা-মা যখন সন্তানের দেহ খুঁজে পায়, তখন ছোট্ট ছেলেটার গলায় ৫-৬টা কোপ মারার দাগ ছিল। গিরি আরও জানিয়েছেন, ‘সংকেশার কোনও সন্তান ছিল না, সে পুত্র সন্তান চাইত। আর তার জন্যই ব্ল্যাক ম্যাজিক করতে সে ও তার শাশুড়ি দুর্গাবতী এই কাজ করে।’ সংকেশার ঘর থেকে দেবের রক্তমাখা জামা আর ঘাতক অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমে গত ৫ জুলাই শাশুড়ি ও বউমাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। গিরি জানিয়েছেন, ‘ভার্চুয়াল শুনানির মাধ্যমেই অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনানো হয়। জেল থেকে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে শুনানিতে উপস্থিত ছিল দু জনেই।’ এই মামলায় ১১-১৩ জন সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী।