চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সলিমপুরে নুর উদ্দিন (৩৭) কে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়েছে তারই এক প্রতিবেশী। এরপর লাশের ওপর পোল্ট্রি মুরগির খামার তৈরি করে সে মুরগি পালন শুরু করে।
শনিবার (১৫আগস্ট) এলাকাবাসী হত্যাকারীকে আটক করে পুলিশে দিলে সে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। রাতেই মাটি খুঁড়ে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের সলিমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত উত্তর সলিমপুর গ্রামের লাল মিয়া কলোনিতে দীর্ঘদিন পাশাপাশি বসবাস করতেন হবিগঞ্জ জেলার চুনারঘাট থানার পাইকপাড়ার মো. রমজান আলীর ছেলে রুমেন মিয়া (৩০) ও সীতাকুণ্ডের কেশবপুরের নুরুল হকের ছেলে মো.নুর উদ্দিন (৩৭)।
গত ১৩ আগস্ট হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যান নুর উদ্দিন। তার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা অনেক খোজার পরেও সন্ধান পাননি। এরই মধ্যে বাড়ির পাশে একটি জমিতে মাটি ফেলে মুরগির খামার তৈরি করে রুমেন মিয়া। এদিকে নুর উদ্দিন নিখোঁজের পর থেকে রুমেনের আচরণের পরিবর্তন লক্ষ করেন বাসিন্দারা।
শনিবার সন্ধ্যার পর তারা রুমেন মিয়াকে চ্যালেঞ্জ করলে সে নুর উদ্দিনকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এতে এলাকার জনপ্রতিনিধিরা পুলিশকে খবর দিয়ে রুমেনকে থানায় সোপর্দ করেন। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে হত্যাকারী রুমেনকে নিয়ে সীতাকুণ্ড সার্কেলের এডিশনাল এসপি শম্পা রানী সাহা, থানার ওসি মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা, ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে রুমেনের দেখিয়ে দেওয়া স্থানে মাটি খুঁড়ে নুর উদ্দিনের টুকরো টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়।
সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সালাউদ্দিন আজিজ জানান, ১৩ আগস্ট রুমেন মিয়া নামক যুবকটি তার প্রতিবেশী নুর উদ্দিনকে কেটে কয়েক টুকরো করে লাশ মাটি চাপা দিয়ে দেয়।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নুর উদ্দিনকে হত্যার অভিযোগ তুলে এলাকাবাসী রুমেন নামক ওই হত্যাকারীকে আমাদের কাছে সোপর্দ করে। আমরা তাকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে জানায়, নুর উদ্দিন তার স্ত্রীকে মারধর করত। এসব মারধর দেখে তার ভালো লাগত না তাই সে নুর উদ্দিনকে হত্যা করেছে!