দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল লাইনে সমস্যা দেখা দেয়ায় দেশজুড়ে ইন্টারনেটে ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন গ্রাহকরা।
রোববার বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মশিউর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “পটুয়াখালীতে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলের (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) পাওয়ার সাপ্লাইয়ে সমস্যা হয়েছে। আজ দুপুরে এ সমস্যা হওয়ার পর মেরামতের কাজ চলছে। আজকের মধ্যে সমাধান হবে বলে আশা করছি।”
মশিউর রহমান বলেন, দেশে যে ব্যান্ডইউথ ব্যবহার করা হয়, তার প্রায় অর্ধেক দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল থেকে সরবরাহ করা হয়। ওই লাইন বন্ধ থাকায় সারা দেশে গ্রাহকরা ধীরগতির সমস্যায় পড়েছেন।
বাংলাদেশ প্রথম সাবমেরিন কেবল ‘সি-মি-উই-৪’ এ যুক্ত হয় ২০০৫ সালে। আর ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সি-মি-উই-৫ সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হয়।
দ্বিতীয় এই স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১ হাজার ৫০০ গিগাবিট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পায় বাংলাদেশ।
দেশে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, “রোববার দুপুর থেকে সমস্যা শুরু হয়। আইএসপিগুলো যে পরিমাণ ব্যান্ডইউডথ সরবরাহ করে, এখন তার অর্ধেক দিতে পারছে। তাই ব্রডব্যান্ড সংযোগে গ্রাহকদের গতি নিয়ে সমস্যা পোহাতে হচ্ছে।”
তথ্যপ্রযুক্তি ও আইআইজি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ফাইবার অ্যাট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে পাওয়ার সাপ্লাই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ কারণেই ইন্টারনেটের গতি কম।
এমনিতে ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথের বেশি এ কেবলের মাধ্যমে ইন্টারনেট গেইটওয়ে বা আইআইজিগুলো পেয়ে। এখন সরবরাহ কমে যাওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকরাও কিছুটা সমস্যায় পড়ছেন বলে জানান সুমন।
সাবমেরিন কেবল ছাড়াও বাংলাদেশ এখন ছয়টি বিকল্প মাধ্যমে (আইটিসি বা ইন্টারন্যাশনাল টেরিস্ট্রিয়াল কেবল) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সঙ্গে যুক্ত।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে প্রায় এক হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হয়ে থাকে যার মধ্যে প্রায় অর্ধেক সরবারহ করে থাকে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল।