বিএনপি ঘরে বসে জুম মিটিংয়ে টেলিভিশনে উঁকি দেয়:ড. হাছান মাহমুদ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তারা (বিএনপি) ঘর থেকে বের হয় না। ঘরে বসে জুম মিটিংয়ে টেলিভিশনে উঁকি দেয়। আর যারা ঘরের মধ্যে বসে বসে উঁকি দেয়, সরকারের সমালোচনা করেন তাদেরকে বলবো, ঘরে বসে উঁকি দিয়ে সরকারের সমালোচনা করবেন না। জনগণের পাশে দাঁড়ান। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কৃষক লীগে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু ২৩ এভিনিউ’র আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান কার্যালয়ে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিএনপিকে কৃষক লীগ থেকে শিখার আহবান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা কৃষক লীগ থেকে শিখুন। ধান কাটার সময় কৃষক লীগ ধানব কেটেছে। বিএনপিকে দেখা যায়নি। শুধু কেটেছে তা নয়, মাথার উপর করে বাড়িতে দিয়ে এসেছে। এই কাজটি তো বিএনপি করে নাই। আজকে প্রধানমন্ত্রী একটি দিনও ঘরে বসে নাই। তিনি সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। দলের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার সঠিক নেতৃত্বে কারণে সরকার আল্লাহর রহমতে করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। আমরা সঠিক ভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি তাহলে ভবিষ্যতে পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো। আসুন এক সাথে দেশটাকে সগড়ে তুলি। আমরা আপনাদেরকেও আহবান জানাই, একসাথে জনগণের পাশে দাঁড়াই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনা পরিস্থিতি যখন শুর’ হলো তখন বহু বিশেজ্ঞ, বাংলাদেশে নানান ধরণের বিশেষজ্ঞ আছে। কিছু সত্যিকার বিশেষজ্ঞ, কিছু বিশেষ কারণে অজ্ঞ বিশেষজ্ঞ, আবার কিছু সব বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। এই বিশেষজ্ঞরা শুর’তে বলেছিলেন, বাংলাদেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ অনাহারে মৃত্যুবরণ করবে। তাদের আকাঙ্খাকে ভুল প্রমাণিত করে, শেখ হাসিনার সঠিক নেতৃত্বে কারণে কেউ অনাহারে মৃত্যুবরণ করেনি। যেসমস্ত বিশেষজ্ঞ রাত ১২টার পরে টেলিভিশনের পর্দা ফাটিয়ে দেন। আর যে সমস্ত সুশিল নেতৃবৃন্দ শুধু পরামর্শ দেন আর ভুল ধরেন। আমি তাদের নাম দিয়েছি ভুল ধরার পার্টি। তাদের কাজ হচ্ছে শুধু ভুল ধরা। এখন তাদেরকে খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক মুটো চাল নিয়েও কারো কাছে যায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি করোনা সঠিক মোকাবেলা না করতে পারতেন,মৃত্যুর হার তো ভারত-পাকিস্তানের চেয়ে বেশি হতো।
বক্তব্যের শুর’তে ১৫ আগষ্ট্রে নিহত সকলের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংসার পেতে ছিলেন কিন্তু সংসার করেননি। তিনি সংসার হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন এই পুরো জাতিকে। বাঙ্গালী জাতি ছিল তার সংসার। আর সেই সংসারকে ধরে রেখেছিলেন বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন নেসা। শুধু সংসার ধরে রেখেছিলেন তা নয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন নেসা বঙ্গবন্ধু যখন জেলে থাকতেন তখন দলটাকে ধরে রেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর জীবনে গুর’ত্বপূর্ণ মুহুর্তে গুর’ত্বপূর্ণ পরামর্শ এসেছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন নেসার কাছ থেকে।
হাছান মাহমুদ আরো বলেন, গত কয়েক দশকে আমাদের অনেক নেতা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন। এটা বঙ্গবন্ধুর সময় হয়ে ছিল। তখন বঙ্গমাতা সঠিক পরামর্শ দিয়েছেন। বাংলার ইতিহাস লিখতে গেলে যেমন বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস লেখা হয়ে যায়। তেমনি বঙ্গবন্ধুর জীবন লিখতে হলে, অবদান লিখতে হলে সাথে সাথে চলে আসে বঙ্গমাতা শেখ ফজিল্লাতুন নেসা।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী। আলোচনা সভায়টি পরিচালনা করেন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলছুম স্মৃতি। আলোচনা সভা শেষে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারপর প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সকল আমন্ত্রিত অতিথিকে সাথে নিয়ে কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন।
বিএনপি ঘরে বসে জুমে উঁকি দেয়: ড. হাছান মাহমুদ
পুর্ববর্তী নিউজ