শুদ্ধতার স্বাদ মাখা ঊষালগ্নের ঝোড়ো হাওয়া
গৃহবধূর আটপৌরে শাড়ির আঁচলে অট্টহাস্যে লুটিয়ে পড়া দাপুটে ক্ষোভ
ক্ষেপাটে ষাঁড়ের মতো ছুটে চলা পুঞ্জীভূত মেঘের ভেলা,
কিংবা আইসক্রিমের জমাটবাঁধা শীতল ফানুস
সবই ছন্দবদ্ধ তালে নাচে গৃহবধূর উন্মীলিত দৃষ্টিতে|
ভেজা ঘাসে হলদে পায়ের জোড়া শালিকের খুনসুটি
পাশাপাশি সময়-ক্ষেপণে কৃত্রিম ব্যস্ততা দেখায় ,
গৃহবধূর মুক্ত পায়ে অদৃশ্য শেকলের ধ্বনি
নূপুরের শব্দ হয়ে গুমরে গুমরে বাজে শঙ্খ নিনাদের করুণ সুরে
ভেজা ঘাসের চাদর স্পর্শ করার মতো দীর্ঘ নয় সে শেকল|
ভাবনার উঠোনজুড়ে গৃহবধূর সংঘবদ্ধ অভিমান
স্বচ্ছ বৃষ্টির বড় বড় ফোঁটায় মিশে মোম-সদৃশ মাটির বুকে সোঁদা গন্ধ বিলায় ,
রোমান্টিকতা এবং স্বেচ্ছাচারীতা উভয়ই এক উঠোনে বন্দী
রস-তত্ত্বের বিশিষ্টতায় কাব্য – ব্যঞ্জনার সন্ধি
যেন গৃহবধূর গার্হস্থ জীবনের স্মৃতিপটে বর্ষা-মঙ্গলের ধারা|
গৃহবধূর আঁচলে কুড়ানো খয়েরি রঙের খসখসে কয়েকটি পাতা
যার উপশিরা জুড়ে আঁকড়ে থাকা পুঁই মাচার লাজুক পুঁইয়ের ডগা
ইনিয়ে বিনিয়ে আরো যেন বর্ষার স্বাদ চায়|
বিষণ্ণ বিষাদ সদৃশ গুমোট মেঘের গলে পড়া
ফেলে আসা বসন্তের আগুনঝরা দিনে
শান্তির পরশ বুলায় সংশপ্তকের বেশে|