পশ্চিমবঙ্গের বেলডাঙার মহেশপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকের মৃত্যুর পরে করোনা আতঙ্কে এগিয়ে এল না কেউ।
শনিবার (৮ আগস্ট) ভোরে অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষক নরেন্দ্রনাথ কর্মকার (৬৫) মারা যান।
গত কয়কেদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হওয়ায় এলাকার চিকিৎসক দেখানো হয়েছিল। তিনি করোনা আক্রান্ত কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার আগেই মারা যান।
এরপরেই এলাকায় রটে যায় ওই শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। আর তাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ফলে পাড়া-প্রতিবেশী থেকে আত্মীয়-স্বজনরা কেউ এগিয়ে আসেনি। সৎকারের উপায় না পাওয়ায় মৃতের স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী কামারুজ্জামানের শরণাপন্ন হন। সব কথা শুনে কামারুজ্জামান এবং তাঁর সঙ্গীরা শিক্ষকের বাড়ি থেকে মৃতদেহ বের করে শ্মশানে নিয়ে যান।
এ দিন কামারুজ্জামানের সঙ্গে ছিলেন ইসমাইল,একরামুল,ববি। চারজনে মিলে ঘর থেকে মৃতদেহ বের করে আনেন। শিক্ষকের ছেলে অঞ্জন কর্মকার বলেন,কামরুজ্জামান না থাকলে আমাদের খুব অসুবিধার মধ্যে পড়তে হতো। তার চেষ্টাতেই বাবার সৎকার করতে পারলাম।