আশির দশকের বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক সাত্তার আর নেই। মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৪ বছর। তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় পারিবারিক কবররস্থানে নায়ক সাত্তারকে দাফন করা হবে। তাঁর পৈর্তৃক বাড়ি ও জন্মস্থান শহরের উকিলপাড়া এলাকায়। এখানেই তিনি বড় হয়েছেন। শিক্ষাজীবনে তিনি নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এবং নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে অধ্যয়ন করেছেন।
এই চিত্রনায়ক শেষ জীবনে দীর্ঘদিন যাবত সৈয়দপুর এলাকায় ৩য় স্ত্রী কাকলী সাত্তারের সাথে খুবই দৈন্যদশার মধ্যে বসবাস করছিলেন। তাঁর প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রী ইন্তেকালের পর কাকলীর সাথে তৃতীয় বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
সদ্য প্রয়াত চিত্রনায়ক সাত্তারের স্ত্রী কাকলী সাত্তার জানান, সন্ধ্যায় রাজধানীর গ্রীনলাইফ মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে নেয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। তিনি এর আগে তিনবার ব্রেনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন। ২০১৮ সাল থেকে তিনি শয্যাশায়ী হয়েছেন। পাশাপাশি বার্ধক্যজনিত আরো নানা রোগে ভুগছিলেন। বছর ছয়েক আগে তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছিলেন। সেই টাকায় চিকিৎসা ও সংসার চলতো তাঁদের।
বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র শাবানা, রোজিনা, অঞ্জু, জিনাত, কবিতা, অলিভিয়া, রানীসহ সুপার হিট সব চিত্রনায়িকার বিপরীতে মূল নায়কের চরিতে অভিনয় করেছেন সাত্তার। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র রঙ্গীন রাখাল বন্ধু, রঙ্গীন রূপবান, সাত ভাই চম্পা, আলো মতির প্রেম কুমার, মধুমালা মদন কুমার, সাগরকন্যা, শীষমহল, ঝড় তুফান, ঘরভাঙ্গা সংসার, জেলের মেয়ে রোশনীসহ ১শ’ ১০ টির মতো চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছেন সাত্তার।
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির সাথেও সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন তিনি। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু গ্রুপ থেকে নারায়ণগঞ্জ-৫ (সদর-বন্দর) আসনে অংশ নিয়েছিলেন।