এবার জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখকে নিজেদের দাবি করে নতুন রাজনৈতিক মানচিত্র প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। মঙ্গলবার প্রকাশিত নতুন মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মির, লাদাখ ও স্যার ক্রিক নিজেদের অংশ হিসেবে দেখিয়েছে ইসলামাবাদ। তুরস্কের সংবাদমাধ্য আনাদোলু এজেন্সি এখবর জানিয়েছে।
পাকিস্তানের নতুন মানচিত্রে জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখকে ‘অবৈধভাবে ভারতের দখলে থাকা এলাকা’ বলে দেখানো হয়েছে। আগের মানচিত্রে ‘বিরোধপূর্ণ ভূখণ্ড’ উল্লেখ করা ছিল। এছাড়া গুজরাট সীমান্তে স্যার ক্রিক (ভারতের গুজরাট ও পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মধ্যেকার জলরাশি) অঞ্চলটিকেও পাকিস্তানের অংশ হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মিরের মতো স্যার ক্রিক নিয়ে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদের বিবাদ নতুন নয়। প্রায় ৯৬ কিলোমিটারের ওই জলরাশি রান অব কচ্ছ থেকে শুরু হয়ে আরব সাগরে মিলিত হয়েছে। তেল, গ্যাস ও মাছের মতো প্রাকৃতিক সম্পদের দিক থেকে এই অঞ্চলটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায়ই সেখানে একে অপরের জেলেদের আটক করে উভয় দেশই।
খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে নতুন মানচিত্রকে অনুমোদন দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। নতুন মানচিত্রের বিষয়ে তিনি বলেন, পাকিস্তানের জনগণ ও সব বিরোধী দলের সহযোগিতা রয়েছে আমাদের সঙ্গে। জম্মু-কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার ভারতীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই এই নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছি আমরা।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ইমরান খান বলেন, মন্ত্রিসভা, বিরোধী দল ও কাশ্মিরের নেতৃত্ব নতুন মানচিত্র অনুমোদন দেওয়ায় পাকিস্তানের আজ এক ঐতিহাসিক দিন।
ইমরান খান আরও বলেন, কাশ্মির পাকিস্তানের অংশ হবে এবং মানচিত্র সেই পথে প্রথম পদক্ষেপ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি বলেছেন, নতুন মানচিত্রে দেখানো হয়েছে কাশ্মিরের সঙ্গে চীনের স্পষ্ট সীমান্ত রয়েছে।
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে ভারত ‘একটি অর্থহীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এক বিবৃতিতে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ভারতীয় গুজরাট রাজ্যের ভূখণ্ড ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মির ও লাদাখকে অসমর্থনযোগ্য দাবি করা অর্থহীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুশীলন।