ইউরোপ-আমেরিকার বিভিন্ন অমুসলিম দেশে বোরকা, হিজাব, নেকাব নিষিদ্ধের আইন আছে। তবে বেশকিছু মুসলিমপ্রধান দেশেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে হিজাব ও নেকাব। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনাও হয়েছে বিস্তর। দেখে নিই বিশ্বের কোন কোন মুসলিম দেশে হিজাব-নেকাব নিষিদ্ধ।
তাজিকিস্তান: দেশটির ৯৭ ভাগ মানুষ মুসলমান। তবে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ার মুসলিমপ্রধান দেশ বোরকা ও হিজাব নিষিদ্ধের ঘোষণা দেয়। ইসলামি মুখ ঢাকা পোশাক পরার চেয়ে দেশটির ঐতিহ্যগত পোশাক পরায় মনোযোগী হতে নারীদের আহ্বান জানায় দেশটির সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। তবে এই আইন অমান্য করলে শাস্তির বিধান রাখা হয়নি। তবে দেশটিতে আইন অমান্যে শাস্তির বিধান রাখার বিষয় নিয়ে আইন তৈরির বিষয়ে কথা-বার্তা চলছে।
মরক্কো: আফ্রিকার এই দেশটিতে ৯৯ শতাংশ মুসলিম ধর্মাবলম্বী। তবে মরক্কোতে ২০১৭ সালের শুরু থেকে বোরকার উৎপাদন, আমদানি ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি দেশটির সরকার। বোরকা পরার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা রয়েছে কিনা, তাও স্পষ্ট করা হয়নি। এর ফলে বিষয়টি নিয়ে দেশটির মানুষের মধ্যে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।
নাইজার: এই দেশটির ৯৮ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী। তবে জঙ্গি গোষ্ঠী বোকো হারামের কার্যক্রম বেশি থাকায় এবং নেকাবের আড়ালে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধির আশঙ্কায় দেশটির দিফা এলাকায় পর্দা নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ দেশটির প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, প্রয়োজনে মাথা ঢাকা পোশাক হিজাবও আসতে পারে নিষেধাজ্ঞার আওতায়।
শাদ/চাদ: দেশটি মুসলিম প্রধান। এখানকার প্রায় ৫৫ শতাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। তবে ২০১৫ সালের জুন মাসে দেশটিতে দুটি বোমা হামলার ঘটনার পর নারীদের মুখ ঢাকা পোশাক বা হিজাব নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সরকার। বোরকা কোথাও বিক্রি করা হচ্ছে দেখলে তা সঙ্গে সঙ্গে পুড়িয়ে ফেলা হবে বলেও ঘোষণা দেন শাদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী। কেউ নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে রয়েছে কারাদণ্ডসহ শাস্তির বিধান।
ক্যামেরুন: দেশটিতে মুসলমানদের জনসংখ্যা মোট জনগোষ্ঠীর ৩০ ভাগ। শাদে মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধ হওয়ার এক মাসের মাথায় আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনও মুখ ঢাকা, হিজাব, নেকাব নিষিদ্ধ রয়েছে। বর্তমানে দেশটির ৫টি প্রদেশে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। নিষেধাজ্ঞা অমান্যে রয়েছে শাস্তির বিধান।