শনিবার ১ আগস্ট পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। এজন্য নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিশেষ করে রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে ঈদের জামাতগুলো ঘিরে পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তা বলয় থাকবে। তবে পুলিশ নাগরিকদের আশ্বস্ত করেছেন আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) জনসংযোগ ও গণমাধ্যম শাখার উপকমিশনার ওয়ালিদ মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ঢাকার কোনও ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এই মসজিদের প্রতিটি জামাতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মসজিদের জামাতে আসা মুসল্লিদের আর্চওয়ে মধ্য দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও মসজিদের ফটকে ও চত্বরে ইউনিফর্ম পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে।’
শনিবার সকালে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত হবে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৭টায়। এবার এই মসজিদে ছয়টি জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
ওয়ালিদ হোসেন বলেন, ‘যেসব মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে, সেগুলোতে নিরাপত্তার বিষয়ে শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু হয়েছে। প্রতিটি মসজিদে ভিডিও ক্যামেরা, আর্চওয়ে, মেটেল ডিটেক্টর থাকবে। মুসল্লিদের মসজিদে ছাতা বা ব্যাগ নিয়ে না আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।’
প্রত্যেক মুসল্লিকে মেটাল ডিটেক্টর ও আর্চওয়ে দিয়ে ঈদগাহে প্রবেশ করতে হবে। ঈদগাহের চতুর্থদিকে ও ভেতরে সর্তক অবস্থায় থাকবে ইউনিফর্মে ও সাদা পোষাকে পুলিশ। জাতীয় ঈদগাহে ও তার আশপাশের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করবে পুলিশ।
শুক্রবার ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের ডগ স্কোয়ার্ড দিয়ে বায়তুল মোকারম চত্বর সুইপিং করা হয়েছে। শনিবার সকালে বায়তুল মোকারমে ঈদ জামাতের সময় ডিএমপির বিশেষ টিম কাজ করবে।
র্যাবসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ডিএমপি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলবেন বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে রাজধানীতে টহল বাড়িয়েছে র্যাব। বাহিনীর বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঈদকে সামনে রেখে শহরকে নিরাপদ রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার ছক প্রস্তত করেছে।
র্যাবের গণমাধ্যম ও আইন শাখার পরিচালত লে. ক. আশিক বিল্লাহ জানান, নাগরিকদের নিরাপদে ঈদুল আযহা পালনের জন্য র্যাব কাজ করছে।