করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় এবার পুনরায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে দেশটির আর ছয়’টি শহরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের নিষেধাজ্ঞা ৩১ জুলাই থেকে আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে রাজ্য সরকার।
‘নিষিদ্ধ’ এই ছয় শহরের তালিকায় আছে দিল্লি, মুম্বাই, পুনে, নাগপুর, চেন্নাই ও আহমদাবাদ। এই শহরগুলিতে সর্বাধিক সংক্রমণের ঘটনা ধরা পড়েছে। বৃহস্পতিবার কলকাতা বিমানবন্দরের এক আধিকারিক এই তথ্য জানিয়েছেন।
সর্বাধিক করোনা প্রভাবিত এলাকাগুলি থেকে কলকাতায় ঘরোয়া উড়ান ব্যানের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য নবান্ন থেকে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রক থেকে এই সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করা হয়। এ ছাড়া যে সমস্ত দিনে রাজ্যে পূর্ণমাত্রায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে সেই সমস্ত দিনেও যাত্রীবাহী উড়ান স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়েছিল। সেই আবেদনেও কেন্দ্র সম্মতি দিয়েছে।
আর্জি জানিয়ে গত মাসে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের সচিব পিএস খারোলাকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। রাজ্যের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত ৬ জুলাই থেকে মোট ছ’টি শহর থেকে কলকাতায় উড়ান আসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রথমে স্থির হয়েছিল ১৯ জুলাই পর্যন্ত এই নির্দেশিকা জারি থাকবে। পরে তা ৩১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। ফলে এই ছ’শহর থেকে কলকাতামুখী সমস্ত উড়ান বাতিল। এছাড়া কলকাতা থেকে এই ৬ শহরে উড়ানও বাতিল করেছে অধিকাংশ সংস্থা।
এদিকে, বারবার উড়ান বাতিলের সিদ্ধান্তে স্বভাবতই অখুশি বিমান সংস্থাগুলি। একটি বেসরকারি বিমান সংস্থার শীর্ষ আধিকারিক কলকাতায় বলেছেন, ‘এই দিনগুলোর জন্য আমরা ইতোমধ্যে বুকিং শুরু করে দিয়েছিলাম এবং অধিকাংশ উড়ানে বেশিরভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এখন আমাদের এই সমস্ত উড়ান আবার বাতিল করতে হবে। যাত্রীদের হয় আমাদের ভাড়ার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে অথবা তাঁরা যাতে নতুন তারিখে বুকিং করতে পারেন সেই সুযোগ পাবেন। অথচ কবে ফের এই ছ’টি শহর থেকে কলকাতায় উড়ান আসতে পারবে তা-ও আমরা জানি না।’
এক ট্রাভেল এজেন্টের আশঙ্কা, হায়দরাবাদ এবং বেঙ্গালুরুতেও যে ভাবে সংক্রমণের ঘটনা বাড়ছে তাতে এই শহরগুলিও নিষিদ্ধ তালিকায় যুক্ত হলে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই। যে কারণে এই শহরগুলির অগস্ট মাসের টিকিট না কাটার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সুত্র: এই সময়।