বন্যার কবলে এবার টাঙ্গাইলের কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। নদী উপচে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বরে। ফলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সংকটে পড়েছে প্রতিষ্ঠানসহ এ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগণ।
চারদিকে পানিতে থৈ থৈ। বন্যার পানির এমন চিত্র ১৯৮৮ সালের পর আর দেখেনি টাঙ্গাইলের মানুষ। চারদিকের থৈথৈ পানিতে কর্মব্যস্ততা কমলেও বন্যার পানিতে বৃদ্ধি পেয়েছে স্বাস্থ্যগত নানা রোগবালাই। তার চাপ পড়েছে প্রান্তিক অঞ্চলের লাখো মানুষের ভরসার এই প্রতিষ্ঠানে। বন্যার টইটম্বুর নৌকার মত চলছে একের পর এক রোগী বহন করা ট্রলি। গেল এক সপ্তাহ ধরে বন্যার পানি প্রবেশ করার পরেও চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানটি চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের সেবাকার্য।
চিকিৎসা হাসপাতাল চত্ত্বরে পানি প্রবেশ করায় নানা দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতা ও স্বজনদের। সর্বত্র পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে নিয়মিত চিকিৎসা কার্যক্রম। মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্টসহ নিজেদের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কা থাকলেও মানবিক কারণ বিবেচনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এদিকে, বন্যার পানি আরও বৃদ্ধি পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থায় সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে চায় বলে জানিয়েছেন কুমুদিনী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. এ বি এম আলী আহসান।
প্রতিদিন গড়ে এই হাসপাতালে জেলা ও জেলার বাইরের ৭ শতাধিক রোগি ভর্তি থেকে চিকিৎসা সেবা নেন। এছাড়াও বহিঃবিভাগ থেকে প্রায় ১৫০০ জন নানা ধরণের সেবা গ্রহণ করে থাকেন।