নোয়াখালীতে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬২ জনে। জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ২২ জন। এরমধ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ রয়েছেন।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার দাস বলেন, উপজেলায় নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান আমানউল্যাপুর ইউনিয়নের নূর নবী (৬৬)। তিনি অসুস্থ অবস্থায় গত ২৩ জুলাই নমুনা দেয়ার পর ২৪ জুলাই রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি। এর আগে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের আমানতপুর গ্রামের বাসিন্দা ওয়াজেদ উদ্দিন (৭৭) করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২১ জুলাই নিজ বাড়িতে মারা যান। শনিবার রাতে আসা রিপোর্টে উনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন বলে জানা গেছে। উপজেলায় করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের।
সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ও করোনা ফোকাল পার্সন ডা. নিলিমা ইয়াছমিন জানান, নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২০ জুলাই মারা যান জেলা শহরের মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান (৬০)। শনিবার রাতে আসা রিপোর্টে উনার করোনা পজিটিভ আসে।
সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মতিউর রহমান বলেন, সেনবাগ উপজেলার অর্জুণতলা ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা আমিন উল্যা (৮৫) জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ জুলাই মারা যান তিনি। পরে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠালে শনিবার রাতে ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ আসে।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরও ২২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যার মধ্যে সদরে ১৬, সুবর্ণচরে ১, বেগমগঞ্জে ১, সোনাইমুড়ী ২ ও চাটখিলে ২ জন রোগী রয়েছে। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৯৬৭ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ও আইাসোলেশনে রয়েছেন ৯০৬ জন। মোট আক্রান্তদের মধ্যে সদরে ৮৬৭, সুবর্ণচরে ২০৩, হাতিয়ায় ৯৮, বেগমগঞ্জে ৭৫০, সোনাইমুড়ীতে ১৬২, চাটখিলে ১৫৯, সেনবাগে ১৪২, কোম্পানীগঞ্জে ২২৫ ও কবিরহাট উপজেলায় ৩৬১ জন।