ডিজিটাল বাংলাদেশের অবয়ব কী এখন আর কাউকে বোঝাতে হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশের এই নেপথ্য নায়ক এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে নিশব্দে ঘটে যাওয়া বিপ্লবের স্থপতি হলেন সজীব ওয়াজেদ জয়। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
রোববার (২৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ‘সজীব ওয়াজেদ জয়: সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধু আমাদের এনে দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম পতাকা। বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যার স্বপ্নকে এগিয়ে নিতে যিনি প্রযুক্তির সহায়তায় দেখিয়েছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনিমার্ণে যিনি নেপথ্য কারিগর, তিনি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় প্রধানমন্ত্রীর অবৈতনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা এবং কম্পিউটার প্রকৌশলী হার্ভার্ড গ্র্যাজুয়েড। আগামীকাল সজীব ওয়াজেদ জয়ের শুভ জন্মদিন। তার জন্মবার্ষিকীতে প্রকাশিত হলো ‘সজীব ওয়াজেদ জয় সমৃদ্ধ আগামীর প্রতিচ্ছবি’ গ্রন্থটি।
এই গ্রন্থে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ অর্জনের পর্যায়ক্রমিক এবং কৌশলগত দিক সচিত্র উঠে এসেছে। কিভাবে একটি দেশ বদলে যাচ্ছে, কিভাবে অর্জন করছে সক্ষমতা। শেখ হাসিনার অমিত অর্জন ও দক্ষ নেতৃত্বে আজ বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশ সমৃদ্ধি ও অর্জনের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃত। তার বিচক্ষণ সাহসী মানবিক নেতৃত্বে বদলে যাওয়া বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এই গ্রন্থটি।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এদেশের প্রতিটি অর্জনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু পরিবারের রয়েছে বলিষ্ঠ অবদান। বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ। এদেশের রাজনীতির সততা আর দেশপ্রেমের অনন্য নজির বঙ্গবন্ধু পরিবার। ৭৫ পরবর্তী এদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, সবচেয়ে সফল রাজনীতিবিদ শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা এবং তাদের পরিবারের সকল সদস্য এ দেশের মর্যাদা সমুন্নত করে যাচ্ছেন দেশের সীমানায় দাঁড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও। কেউ গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসাননি। পরিশ্রম করে আপন মেধায় নিজ নিজ আসনে সবাই উজ্জ্বল উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনা আমাদের অর্জনের মহাসড়কে ক্ষণিকের বাধা হলেও যতক্ষণ শেখ হাসিনা চালকের আসনে, নেতৃত্বের আসনে আছেন ততদিন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে তার লক্ষ্যপানে। এগিয়ে যাবে সমৃদ্ধির বর্ণিল দিগন্তে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও গ্রন্থের প্রকাশক জুনাইদ আহম্মেদ পলক এমপি, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব এবং গ্রন্থের সম্পাদক আশরাফুল আলম খোকন ও গ্রন্থের পরিকল্পনাকারী ইয়াসিন কবির জয়।