চীনের করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ ট্রায়াল দেয়ার প্রস্তাবে নীতিগত সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। কিন্তু পরীক্ষা চালাতে এখনো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পায়নি তারা।
ট্রায়াল দেয়ার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় বলছে, বিষয়টি দুটি দেশের মধ্যকার হওয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন। ফলে অনিশ্চয়তার মুখে পরেছে চীনা কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল।
করোনা ভ্যাকসিনের পরীক্ষা করছে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড। যেহেতু চীনের বাইরে একাধিক দেশে সংক্রমণের সংখ্যা অনেক বেশি, তাই ওই সংস্থা চাইছে চীনের বাইরে কোনো দেশে হিউম্যান ট্রায়াল চালাতে।
হিউম্যান ট্রায়াল চালানোর জন্য বাংলাদেশকেও বেছে নেয়া হয়েছে। দেশের স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর এই পরীক্ষা চালানো হবে৷ ট্রায়াল শেষ হতে লাগবে ১৮ মাস৷
এ প্রসঙ্গে বিএমআরসির একজন কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাছে আইসিডিডিআর’বি প্রটোকল জমা দিয়েছিল৷ ন্যাশনাল এথিকস কমিটি এথিক্যালি অনুমোদন দিয়েছে৷ কিন্তু এখনো আরো কিছু অনুমোদন লাগবে৷
তার মধ্যে রয়েছে ওষুধ প্রশাসন, স্বাস্থ্য অধিদফতর, আর যে হাসপাতালগুলোতে কাজ হবে তাদের অনুমোদন৷ এছাড়া কিছু রিএজেন্ট আনারও অনুমোদন দরকার হবে৷
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, চীন থেকে যারা এসেছে তারাও যোগাযোগ করেছে। এটা যেখানে ভালো হয় আমরা সেটাই গ্রহণ করবো। অনুমোদন তো সরকারের প্রসেসিং।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। চীনের ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের বিষয়ে এখন পর্যন্ত তাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগও করা হয়নি।