জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। শুধু কক্সবাজার বলে না, সারা দেশেই আমরা কোথায় গৃহহীন, ভূমিহীন মানুষ আছে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিচ্ছি। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার জেলায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত ২০টি ভবনের উদ্বোধন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবর্ষে আমাদের লক্ষ্য দেশের প্রত্যেকটা মানুষকে আমি যেভাবে পারি গরিবানা হালে হলেও একটা চালা করে দিলেও সেটা আমরা করে দেব। জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ হবে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ। আমরা জাতির পিতার সেই স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে যাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে যেমন ঘর করে দিচ্ছি । আমরা নিজেরাও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমেও যাদের জমি আছে, ভিটা আছে কিন্তু ঘর নেই তাদের ঘর করে দিচ্ছি। এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় সাড়ে চার হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার ফ্ল্যাট পাবে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে ছয়শ’টি পরিবারকে আজ ফ্ল্যাট দেয়া হচ্ছে।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবার একটু বন্যার প্রকোপটা বেশি দেখা যাচ্ছে। শ্রাবণ ও ভাদ্র মাসের দিকে আরও পানি আসবে। অর্থাৎ আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। আমাদের সেই প্রস্তুতি আছে।
উল্লেখ্য, সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে নির্মিত পাঁচতলা ২০টি ভবনসহ প্রকল্পের মোট ১৩৯টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি পাঁচতলা ভবনে থাকছে ৪৫৬ বর্গফুট আয়তনের ৩২টি করে ফ্ল্যাট। প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়া ভবনগুলোতে ফ্ল্যাট পেয়েছেন ৬০০টি পরিবার।