করোনাকালে সেবামূলক কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ইস্যুতে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপি। প্রথম দিকে দলটির নেতাকর্মীরা পিপিই পরলেও এখন কেবল মাস্কেই সীমাবদ্ধ থাকছেন। এর মূল্যও দিতে হচ্ছে তাদেরকে।
করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে গঠিত ‘জাতীয় পর্যবেক্ষণ সেল’র দেওয়া তথ্যমতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) পর্যন্ত বিএনপির ৭৮ জন নেতাকর্মী মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ২৩২ জন। আক্রান্ত ২৩২ জনের মধ্যে বেশ কয়েকজন হাইপ্রোফাইল নেতা রয়েছেন।
মৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতা হলেন— বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হক। গত ৩ জুলাই তিনি মারা যান। এর আগে গত ৮ জুন মারা যান ঢাকা উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ।
সর্বশেষ সোমবার (২০ জুলাই) মারা যান বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লাহ বিভাগ) মো. আব্দুল আউয়াল খান। এ ছাড়া ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৬ মে মারা যান।
সাবেক অর্থমন্ত্রী প্রয়াত সাইফুর রহমানের ছোট ভাই এশিয়ান সার্ভেয়ার্স লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ফয়জুর রহমান মারা যান গত ২৮ জুন। বাকি ৭৩ জন দলের হাই প্রোফাইল নেতা না হলেও করোনাকালে মাঠের সেবামূলক কর্মসূচিতে সামনের সারিতে ছিলেন— এমনটিই বলছে বিএনপির করোনা পর্যবেক্ষণ সেল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেসউইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, দেশের বৃহৎ রাজনৈতিক দল হিসেবে মহামারির মধ্যেও বিএনপিকে মাঠে থাকতে হচ্ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিএনপি নেতাকর্মীরা দলের নির্ধারিত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। এই কর্মযজ্ঞ পরিচালনা করতে গিয়ে অনেকেই মারা গেছেন, বিপুলসংখ্যক লোক আক্রান্ত হয়েছেন।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়, গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় এবং বিএনপির করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেলের কেউ আক্রান্ত হননি।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সেলের সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, করোনা সংকটে সাধারণ মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই বিএনপিকে মাঠে থাকতে হচ্ছে। স্বাভাবিক নিয়মেই আমাদের নেতাকর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, মৃত্যুবরণ করছেন।