বিএনপির আমলে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল। দেশ ছিল দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য। বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার (১৮ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে অনলাইন ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যারা দুর্নীতিতে বাংলাদেশকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করেছিল, তাদের মুখে বর্তমান সরকারের চলমান শুদ্ধি অভিযানকে নাটক বলে পরিহাস করা মানায় না। তাঁরা জেন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করাকেই দেশ ও জনগণের প্রতি তাদের দায়িত্ব পালনের ব্রত করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপির আমলে দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেয়েছিল, তখন দেশ দুর্নীতিবাজদের অভয়ারণ্য ছিল। তখন কী এ ধরনের একটি সাহসী উদ্যোগ নিতে পেরেছিলেন তারা।দুর্নীতির শাস্তি কী দিতে পেরেছিলেন নিজেদের লোকদের? দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চালিয়ে কী ধরেছিলেন নিজ দলের অপকর্মকারীদের? পারেননি।
কাদের বলেন, যারা ২০০৪ সালের গ্রনেড হামালার বিচার করতে গিয়ে জজ মিয়া নাটক সাজিয়েছেন তাদের মুখে চলমান অভিযানকে নাটক বলা মানায় না। যারা বিভিন্নভাবে নাটক করে যাচ্ছেন, তারা তো সবকিছুতেই নাটক দেখতে পাবেন- এটাই স্বাভাবিক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে এসব অভিযান পরিচালনা করছেন। কোনো দল বা মহল থেকে এসব দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের কথা বলা হয়নি। সরকারই উদঘাটন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এর মাধ্যমে বুঝা যায়, শেখ হাসিনা দুর্নীতি বিরোধী কঠোর অবস্থানে। শেখ হাসিনার কাছে কোনো অন্যায়, দুর্নীতি প্রশ্রয় পাবে না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের রাজনীতিতে সততার প্রতীক বঙ্গবন্ধুর পরিবার। তাই সরকার ও শেখ হাসিনার অর্জন গুটিকয়েক ব্যক্তির লোভের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হতে পারে না।
করোনার এই সংকটে হাসপাতালগুলোর পরিবেশ তৈরি করে রোগীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনা সংক্রমণের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে সংক্রমণ উচ্চ মাত্রায় পৌঁছে যাবে বিশেষজ্ঞরা এমন আভাস দিয়েছেন। আসন্ন ঈদে জনসমাগম যে কোনো ভাবেই এড়িয়ে চলতে হবে।
তিনি বলেন, গণপরিবহন চলাচল অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ যাত্রায় সবাইকে নিজের সুরক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। পশুরহাট, লঞ্চ, বাস, ট্রেন স্টেশন, ফেরিঘাট ও শপিং মলসহ বিভিন্ন জায়গায় সামাজিক দূরত্ব মানার চেষ্টা করতে হবে। সবাইকে মাস্ক পরিধান করতে হবে।