ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ ১৬ জুলাই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়। সেদিন ভোরে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা গ্রেফতার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং বন্দি অবস্থায় ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।
আওয়ামী লীগ এবং তার অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এ দিনটি ‘শেখ হাসিনা’র কারাবন্দী দিবস’ হিসেবে পালন করে। অপরদিকে কৃষক লীগ দিনটি ‘গণতন্ত্র অবরুদ্ধ দিবস’ নামে পালন করে। দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন এবং বিভিন্ন সংগঠন স্বাস্থ্যবিধি মেনে আলোচনা সভা, সমাবেশসহ মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছে।
সেদিন শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন অবৈধ সরকারের হীন-রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন। গ্রেফতার পূর্ব মুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি চিঠির মাধ্যমে দেশের জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরকে গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
সেদিন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশবাসী ও দলীয় নেতা-কর্মীরা জেগে উঠলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্র মারাত্মক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন।
বঙ্গবন্ধুকন্যার আপোষহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে আওয়ামী লীগ সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করা হয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দী দিবসে স্বাস্থ্য বিধি মেনে যার যার অবস্থান থেকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে পরম করুণাময়ের নিকট দেশবাসীকে প্রার্থনা করার আহ্বান জানায় আওয়ামী লীগ।