ই মেয়ে! এত রাতে রাস্তায় কি করো? এটা কি পরেছ? তোমাদের এইরকম পোশাকের কারণেই ধর্ষণ বেড়ে যাচ্ছে। এমন কথা নারীদের প্রায়ই শুনতে হয়। মেয়ে মানে রাতে বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষেধ। পরতে হবে ভদ্র সভ্য পোশাক। জিন্স বা অন্য পোশাক পরায় অনেক ক্ষেত্রেই হতে হয় পুরুষের চোরা দৃষ্টির শিকার, শুনতে হয় অশ্লীল মন্তব্য।
একবার ভেবে দেখুন, এই একই পরিস্থিতিতে যদি ছেলেরা পড়ত? অর্থাৎ পোশাক-আশাকের জন্য এই সমালোচনা, কটুক্তির শিকার যদি কোনও মেয়ের জায়গায় কোনও ছেলে হত, এক কথায় বলতে গেলে দুনিয়াটাই যদি পালটে যেত তাহলে কেমন হতো?
সোশ্যাল মিডিয়ায় সম্প্রতি একটি ভিডিও ভারাইল হয়েছে। যেখানে এই পরিবর্তিত একটি সমাজের চিত্রই উঠে এসেছে।
একজন তথাকথিত ‘ভদ্র’ পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একজন মেয়ের রাতে বাইরে বেরোনোর বিষয়টাই উল্টো করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভিডিওতে। এতে ব্যঙ্গ করা হয়েছে সমাজের কথিত নিয়মকে।
শুক্রবার রাতে পোস্ট হয় ভিডিওটি। তারপরেই ভাইরাল। যারা অন্তর্নিহিত সূক্ষ্ম ব্যঙ্গটি বুঝছেন তারা বাহবা দিয়ে শেয়ার করছেন। আবার কেউ কেউ এটির সমালোচনাও করেছেন কমেন্টে।
এবার ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওর মেয়েটির পরিচয় মিলেছে। মেয়েটির নাম রায়তী ভট্টাচার্য্য। পেশায় তিনি একজন অভিনেত্রী। স্টার জলসার ‘ধ্রুবতারা’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তিনি। কাজ করেছেন ওয়েব সিরিজেও।
ডাক্তারি পাশ করে প্রাকটিস শুরু করেছিলেন রায়তী। কিন্তু এই পেশায় তার মন বসেনি। যোগ দেন নাটকের দলে। বড় পর্দাতেও কাজ করেছেন; তার প্রথম ছবি ‘চোলাই’। এছাড়া দিনরাত্রির গল্প, শ্রাবণের ধারার মতো ছবিতেও অভিনয় করেছন এই তরুণী।
ভিডিওটি শেয়ার করার পর সামালোচকদের জবাব দিতে দুটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন ফেসবুকে।
একটি স্ট্যাটাসে রায়তী লিখেছেন, একটা প্রবাদ আছে, পড়লো কথা সবার মাঝে, যার কথা তার গায়ে বাজে। এতো দেখছি শুধু বাজেনি রীতিমতো ফোস্কা পড়ে গেছে।’ অপর একটি স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ‘যাদের আমার ভিডিও দেখে ফোস্কা পড়েছে তারা শনিবার রাত ১১টায় স্টার জলসায় ধ্রুবতারা সিরিয়ালটি দেখুন। আমি সেখানে খুবই অবলা একজন নারী। ওটা দেখলে আপনাদের ভাল লাগবে।