শাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালে প্রায় ১০ হাজার করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল; তারমধ্যে ছয় হাজার ভুয়া রিপোর্ট দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।
বুধবার (১৫ জুলাই) বিকালে র্যাব সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
এর আগে, আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে বোরকা পরা অবস্থায় অবৈধ অস্ত্রসহ সাহেদকে গ্রেফতার করে র্যাব।
তিনি কোমরপুর সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। শাহেদ গ্রেফতার এড়াতে গোফ কেটে ফেলেছিলেন, সাদা চুল কালো করেছিলেন। গ্রেফতারের পর তাকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হয়। এরপর উত্তরায় তাকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযান শেষে রিজেন্ট সাহেদের গ্রেফতারের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে র্যাব। এ সময় সাহেদের বিরুদ্ধে প্রতারণার কিছু অভিযোগ তুলে ধরেন এবং কীভাবে তাকে ধরা সম্ভব হল সেই বিস্তারিত তথ্য দেন র্যাব ডিজি।
র্যাবের মহাপরিচালক বলেন, সে (শাহেদ) করোনা পরীক্ষার রিপোর্টের নামে প্রতারণা করছিল। এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের অধিক করোনা পরীক্ষা করে ৬ হাজার ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে সাহেদের প্রতিষ্ঠান।
র্যাব ডিজি আরও বলেন, শাহেদ করিম নিজেকে যতোই ক্লিন ইমেজের ব্যক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চেষ্টা করুক না কেন, সে মূলত চতুর ধুরন্ধর, অর্থলিপ্সু। তার বিরুদ্ধে অনেক মামলার বিষয়ে জানা গেছে।