আসন্ন ঈদল আজহাকে সামনে রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে বলে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। আজ বুধবার (১৫ জুলাই) এই সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ জানিয়েছে, এ বিষয়ে কাল বৃহস্পতিবার একটি সভা ডাকা হয়েছে। এই সভার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, কালকের সভায় গণপরিবহন চলার পক্ষেই সিদ্ধান্ত আসার সম্ভাবনা রয়েছে। সে ক্ষেত্রে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সুপারিশেও কিছু পরিবর্তন আসতে পারে। সেইসাথে রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, তাই অনুসরণ করবে তারা।
জানা গেছে, ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জননিরাপত্তা বিভাগ এবং সড়ক পরিবহন মহাসড়ক বিভাগকে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, করোনা প্রতিরোধে ঈদুল আজহার সময় জনগণের যাতায়াত সীমাবদ্ধ রাখা প্রয়োজন বলে সর্বস্তর থেকে মতামত দেওয়া হয়েছে। সে কারণে ঈদুল আজহার পাঁচ দিন আগে থেকে পরের তিন দিন পর্যন্ত গণপরিবহন বন্ধ রাখার সুপারিশ জানানো হচ্ছে।
এর আগে ১০ জুলাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি সংক্রমণের বিস্তার রোধে ঈদের ছুটিতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রাম থেকে অন্যান্য স্থানে যাতায়াত বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছিল।
অবশ্য গত ৩০ জুন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে বলা হয়েছিল ঈদুল আজহার সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন ও জন চলাচল অব্যাহত থাকবে।
এমন প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি ও অন্যান্য জলযান সুষ্ঠুভাবে চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ–সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ওই ৯ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। পরে সেই কথা পরিবর্তন করা হয়।
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। প্রয়োজন ছাড়া ভ্রমণ সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
এসময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌপরিবহন–সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান খাজা মিয়া, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম, নৌপুলিশের ডিআইজি মো. আতিকুল ইসলাম, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার চেয়ারম্যান মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, লঞ্চ মালিক সাইদুর রহমান, শহীদুল ইসলাম ভূইয়া, বদিউজ্জামান বাদল।