করোনার নমুনা পরীক্ষা জালিয়াতি ঘটনার মূল হোতা রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদ করিমকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাহেদ এখন কোথায় রয়েছেন- এমন আলোচনা-গুঞ্জন সর্বত্র। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, এই মহাপ্রতারক গোয়েন্দা নজরদারিতেই রয়েছেন।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাব ও পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের দাবি, প্রতারক সাহেদকে গ্রেফতারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে। এদিকে তার পাসপোর্ট জব্দ ও সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তাই এই আসামির বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।
সাহেদ করিম মৌলভীবাজারে অবস্থান করছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রাতভর তৎপর ছিল জেলার সীমান্ত এলাকায়। সোমবার (১৩ জুলাই) সাহেদের ফোন ট্র্যাক করে তার খোঁজে জেলাজুড়ে তল্লাশি চালায় র্যাব ও পুলিশ। তবে এখনও সাহেদের কোনও খোঁজ মেলেনি।
গোয়েন্দাদের ধারণা, সাহেদ হয়তো মৌলভীবাজারের পাহাড়ি এলাকার হোটেল-রিসোর্টে অবস্থান করতে পারে। অথবা সীমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। গোয়েন্দাদের এমন আগাম খবরে ওই এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিশেষ নজরদারি ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
এদিকে সাহেদের বিরুদ্ধে গত রোববার সন্ধ্যায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার জন্য তদন্তকারীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। জালিয়াতির দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
অন্যদিকে করোনায় ভুয়া সার্টিফিকেট বিক্রিসহ বিভিন্ন জালিয়াতির বিষয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, করোনার জাল টেস্ট দেয়ার অভিযোগে গত সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুরের শাখা দুটি সিলগালা করে র্যাব। সাহেদসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৯ জনকে গ্রেফতার করা হলেও সাহেদ পলাতক রয়েছেন।