করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষায় না করেই ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে গ্রেফতার জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার তদন্তভার পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ।
গতকাল সোমবার রাতে মামলাটি তেজগাঁও থানা থেকে তদন্তের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) বিভাগে স্থানান্তর করা হয়। ডা. সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
তথ্যটি নিশ্চিত করে তেঁজগাও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, মামলাটির অধিক তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই ডা. সাবরিনকে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি জেকেজি’র ব্যাপারে তদন্ত করতে গিয়েই উঠে আসে ডা. সাবরিনা ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর নাম। তদন্ত করে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কোনো পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটি ১৫ হাজার ৪৬০ জনকে করোনার টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছে।
এই মনগড়া করোনা পরীক্ষার প্রতিবেদন তৈরি করে হাজার হাজার মানুষের মেইলে পাঠায় তারা। প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয় থেকে জব্দ ল্যাপটপ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর করোনা টেস্ট জালিয়াতির এমন চমকপ্রদ তথ্য মেলে।
এর আগে গত রোববার দুপুরে ডা. সাবরিনাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।
