জার্মানিতে অন্যান্য সকল পেশার মতো যৌন ব্যবসাও বৈধ। সেখানে অন্য সব বৈধ পেশাজীবীদের মতো যৌনকর্মীরাও নিয়মিত আয়কর দেন। কিন্তু করোনার কারণে গত ৪ মাস ধরে সেখানে সব যৌনপল্লী বন্ধ৷ আর তাই মহাসংকটে পড়েছেন এ পেশায় যুক্তরা।
বর্তমানে পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়াতে প্রায় সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই খুলে দেয়া হয়েছে৷ কিন্তু যৌনব্যবসা এখনো বন্ধ রয়েছে সেখানে ৷ সেখানকার যৌনকর্মীরা সরকারের কাছে তাদের প্রতি এই বৈষম্যমূলক আচরণের কারণ জানতে চেয়ে শুরু করেছে আন্দোলন৷
গত শনিবার হামবুর্গের রেডজোনে সমবেত হয়ে বিভিন্ন যৌনপল্লীর পরিচালক এবং যৌনকর্মীরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেশের সব যৌনপল্লী খুলে দেয়ার দাবি জানান। সমাবেশে জার্মানির নানা প্রান্ত থেকে আসা চারশ’রও বেশি যৌনকর্মী অংশ নেন৷
সমাবেশের সময় হামবুর্গের হেরবারস্ট্রাশের রেডজোনের সব লাল আলো জ্বলে ওঠে। অংশগ্রহণকারীরা নানাভাবে সরকারের কাছে কাজের সুযোগের দাবি জানান। সেখানে জানালায় দাঁড়ানো এক নারীর হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘প্রাচীনতম পেশার এখন আপনার সহায়তা দরকার।’ আরেকজন তুলে ধরেছিলেন, ‘করোনার কারণে যৌনব্যবসাকে অবৈধ হতে দেয়া যায় না’। এ সমাবেশে অনেকে মুখোশ পরে অংশ নেন৷ এক যৌনকর্মী বেহালা বাজিয়ে, গান গেয়ে যৌনপল্লি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানান।
অনেকে মনে করেন, করোনা সংকটের সময় যৌনব্যবসার সুযোগ দিলে সংক্রমণ দ্রুত ছড়াতে পারে৷ তবে যৌনকর্মীদের সংগঠন এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মাসাজ পার্লার, পার্লার, নাচ বা অন্যের শরীর স্পর্শ করতে হয় এমন খেলাধুলার চেয়ে যৌনব্যবসায় সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি নয়৷ তাছাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ অংশ৷’
উল্লেখ্য, সুইজারল্যান্ডসহ বিশ্বের বেশ কিছু দেশে এরই মধ্যে যৌনপল্লি আবার খুলে দেয়া হয়েছে।