করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা করা রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের পাসপোর্ট জব্দ করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার রাতে রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে তল্লাশি চালিয়ে পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন গাজী বলেন, উত্তরা-১৪ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয় থেকে তার পাসপোর্ট জব্দ করা হয়েছে। এখন অন্তত সাহেদ দেশত্যাগ করতে পারবেন না। তাকে গ্রেফতার করতে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, সাহেদ দেশত্যাগ করতে পারে, এমন শঙ্কা ছিল। রিমান্ডে থাকা আসামিদের থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয় রিজেন্ট হাসপাতালে। অভিযানকালে আমরা রিজেন্ট কার্যালয়ের রান্নাঘর থেকে কম্পিউটারের তিনটি হার্ডডিস্ক জব্দ করেছি। সাহেদের ল্যাপটপের হার্ডডিস্কও রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ধরা পড়ার শঙ্কায় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও নথি গায়েব করার উদ্দেশে হার্ডডিস্কগুলো তাৎক্ষণিকভাবে সরিয়ে ফেলা হয়েছিল। আমরা হার্ডডিস্ক বিশ্লেষণ করব, ফাইল ডিলিট করা হলে সেগুলো উদ্ধার করে খতিয়ে দেখা হবে।
এ প্রসঙ্গে র্যাবের মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদকে ধরতে নজরদারি অব্যাহত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন। যেগুলো তদন্ত কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। র্যাব তার ঘনিষ্ঠ সকলের ওপর নজর রাখছে।
এর আগে গত সোমবার (৬ জুলাই) রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৭ জুলাই) রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়। এতে সোমবার রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা থেকে আটক আটজনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এছাড়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদসহ ৯ জনকে পলাতক আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।