১৩টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইতালি। এরমধ্যে রয়েছে বাংলাদেশও। বৃহস্পতিবার দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ খবর দিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
ইতালিতে যে দেশগুলোর নাগরিকরা প্রবেশ করতে পারবেন না সেগুলো হল- বাংলাদেশ, আরমেনিয়া, বাহরাইন, ব্রাজিল, বসনিয়া এন্ড হার্জেগোভিনা, চিলি, কুয়েত, উত্তর মেসিডোনিয়া, মলডোভা, ওমান, পানামা, পেরু এবং ডোমিনিকান রিপাবলিক।
এক বিবৃতিতে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী রবার্তো স্পারাঞ্জা বলেন, শুধু এই দেশুগুলোর নাগরিকরাই নন, গত ১৪ দিনের মধ্যে যারা এসব দেশে অবস্থান করেছেন কিংবা দেশগুলোর হয়ে ভ্রমণ করেছেন তারও এই নিষেধাজ্ঞার আওয়াতা পড়বেন।
ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশিদের
এদিকে বাংলাদেশ থেকে ইতালি যাওয়া দু’টি ফ্লাইটের ১৬৭ জন যাত্রীকে শেষ পর্যন্ত দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বুধবার (৮ জুলাই) তাদের ফেরত পাঠানো হয়। একই দিন দুটি ফ্লাইটে তারা ইতালি গিয়েছিলেন। জানা গেছে, ওই ফ্লাইটে থাকা এক বাংলাদেশি প্রবাসী নারীকে ফিরিয়ে না দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। একই সঙ্গে থাকা অন্য দেশের বেশ কিছু নাগরিককে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
এর আগে সোমবার বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করে ইতালি কর্তৃপক্ষ। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে এক সপ্তাহের জন্য সকল ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করলেও কাতারের সঙ্গে ফ্লাইট চালু আছে ইতালির। সেই হিসেবে কাতারের রাজধানী দোহা থেকে যাওয়া ওই ফ্লাইটটির বাংলাদেশি যাত্রীদের ইতালি প্রবেশে কোনো বাধা থাকার কথা ছিল না। কিন্তু তাদের দেশটিতে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ থেকে ইতালিতে প্রবেশ করাদের মধ্যে যাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়েছে তাদেরকে আইসোলেশন অথবা হাসপাতালে পাঠানো হয়। আর বাকিদের হোম করেন্টাইনে রাখা হয়েছে রোমের হিলটন হোটেলে।
এদিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতালি বিমানবন্দরর থেকে ফিরিয়ে দেয়া ১৫২ বাংলাদেশি দেশে পৌঁছার পর তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে বা পাঠানো হবে।