মিঠুন মাহমুদ: চুয়াডাঙ্গা (জীবননগর) প্রতিনিধি
জীবননগরে ফার্নিচার ব্যবসায়ীকে বিচার মজলিশে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করার অভিযোগ উঠেছে আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার ও দফাদার বরকতের বিরুদ্ধে। গত বুধবার (৭জুলাই) রাতে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গোডাউন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে।
আহত ফার্নিচার ব্যবসায়ী আশাদুল হক (৩৫)আন্দুলবাড়িয়া গোডাউন পাড়ার আফসার আলীর ছেলে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে ,গত মঙ্গলবার বেলা ১১টার সময় আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে সৎ মায়ের অভিযোগে গ্রাম আদালতে বিচার বসে। সেখানে জনসম্মুখে আশাদুলকে শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার চেয়ারম্যান ও দফাদার বরকত আলী লাঠি দিয়ে মারধর করে । এক পর্যায় গুরুত্বর আহত হলে আশাদুলের পরিবারের অনান্য সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।
আশাদুল অভিযোগ করে বলেন, আমার সৎ মায়ের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো যার কারণে আমার সৎ মা আমার নামে আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করে । পরিষদ থেকে আমাকে নোটিশ দিলে বিচারে উপস্থিত হলে আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করয় প্রতিবাদ করি। এ সময় মোক্তার চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার বরকত আমাকে পরিষদের মধ্যেই মারধর করে রক্তাত্ব জখম করে ।
দফাদার বরকত আলী বলেন, আমি ইউনিয়ন পরিষদে চাকরি করায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে আশাদুলকে মেরেছি। আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি রিসিভ করেননি।
আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শেখ হাফিজুর রহমান বলেন, আশাদুল তার বাবার মারধর করে বলে। সে কারণে আশাদুলের বাবা চেয়ারম্যানকে মারার নির্দেশ দিলে তাকে মারধর করে ।
জীবননগর থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আন্দুলবাড়িয়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মুনিম লিংকন বলেন, আইন সবার জন্য সমান । যদি কেউ বিচারের নামে মারধর করে তা হলে অন্যায় করেছে । বিচারে যদি সে দোষী প্রমাণিত হয় আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।