আদালত প্রাঙ্গণে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত। বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে গ্যাস লাইটর দিয়ে নিজের লঙ্গুতি আগুন ধরিয়ে দেন তিনি।
মঙ্গলবার (৩০ জুন) বিকালে নবনির্মিত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চারতলায় এ ঘটনা ঘটে।
তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ বিষয়টি দেখে দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলেন। এ ঘটনায় বরকতের লুঙ্গির কিছু অংশ পুড়ে গেলেও তার শরীরের কোনো ক্ষতি হয়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জাতীয় দৈনিক যুগান্তর বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলি আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসাইনের আদালতে তুলে সাত দিনে রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পৃথক মামলায় গ্রেফতার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ইমতিয়াজ হাসান রুবেলেরও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে একই আদালত পৃথক দুটি চাঁদাবাজি মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, ফরিদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে চুরির ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে। আসামি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অন্যদিকে ইমতিয়াজ হাসান রুবেলকে দুলাল লস্করের করা একটি চাঁদাবাজি মামলায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাকেও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।