বড় কোন সংশোধনী ছাড়াই সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে পাস হলো ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট। মঙ্গলবার (৩০ জুন) সকালে স্পীকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
অধিবেশনের শুরুতে সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মঞ্জুরি দাবি উত্থাপন করা হয়। মঞ্জুরিকৃত দাবিগুলো নিষ্পত্তি শেষে নির্দিষ্টকরণ বিল-২০২০ জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এ সময় কন্ঠভোটে তা গৃহীত হয়। এরপর অর্থমন্ত্রী বিলটি পাস করার প্রস্তাব দিলে টেবিল চাপড়ে তাতে সম্মতি জানান সংসদ সদস্যরা। দেশের ৪৯তম এবং আওয়ামীলীগ ২১তম এই বাজেটে অর্থনীতির ওপর করোনাভাইরাস মহামারীর আঘাত কাটিয়ে ওঠার দিকে নজর দেয় হয়েছে। সীমিত অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও খরচ বৃদ্ধির চাপের মধ্যেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে এনবিআর ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
এনবিআর বর্হিভূত রাজস্ব আয় ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর বর্হিভূত রাজস্ব আয় আরও ৩৩ হাজার কোটি টাকা। তা সত্ত্বে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ৮.২ শতাংশ।
যদিও আইএমএফ, বিশ্বব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অনেক কমবে। বাজেটে মূল্যস্ফিতি ধরা হয়েছে পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ। করোনায় বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও করোনা মোকাবেলায় এবারে বাজেটে সবোর্চ্চ কর ছাড় দেয়া হয়েছে। চাল, চিনি ভোজ্যতেল, পেয়াজ ও লবণের মতো অতিপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর শুল্ক কমানো হয়েছে বাজেটে।
যদিও মোবাইল সেবায় সম্পুরক শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব প্রত্যাহারের যে দাবি ছিলো তা আমলে নেয়া হয়নি। পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের শর্ত শিথিল করা হয়েছে। কালোটাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলে তা তিন বছর রাখার শর্ত শিথিল করে এক বছর করা হয়েছে। আগামীকাল বুধবার ( পহেলা জুলাই) থেকে কার্যকর হবে নতুন অর্থবছরের বাজেট।