চোখের পলকেই সব ওলট-পালট করে দিতে পারে বিদ্যুতের একটি খোলা তার। ফ্যান বা লাইটের ত্রুটিপূর্ণ সুইচটি অন করতে গিয়েই হয়ে যেতে পারে বিপদ। অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে থাকে অনেকেই। কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে তার বেঁচে থাকা নির্ভর করে বিদ্যুতের প্রাবল্যের ওপর। খুব কম সময়ে শরীরে অনেক বেশি বিদ্যুৎ চলে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।
হঠাৎ কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে কি করবেন?
১. কেউ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হলে স্পৃষ্ট অবস্থায় কোনোভাবেই তার গায়ে হাত দেবেন না। গায়ে পানিও দেবেন না। বরং শুকনো কাঠের টুকরো, খবরের কাগজ অথবা রাবার জাতীয় বিদ্যুৎ অপরিবাহী বস্তু দিয়ে সজোরে আঘাত করে সরান। সেটা ঠিকভাবে করতে পারলে বিদ্যুতের উৎস থেকে সেই ব্যক্তির ছিটকে যাবেন। এটা যতো দ্রুত করা যাবে ব্যক্তির বাঁচার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে।
২. যত দ্রুত সম্ভব মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন। তবে মেইন সুইচ দূরে হলে তা বন্ধ করতে গিয়ে অনেকটা সময় নষ্ট লেগে যেতে পারে যা বিদ্যুৎস্পৃষ্ট ব্যক্তির জন্য মারাত্মক হতে পারে। তাই ওই ব্যক্তি সামনে থাকলে প্রথমেই তাকে বিদ্যুতের উৎস থেকে সরানোর চেষ্টা করুন। সঙ্গে অন্য কেউ থাকলে তাকে পাঠান মেইন সুইচ বন্ধ করতে। তবে হাতের কাছে বিদ্যুৎ অপরিবাহী কিছু না পেলে দ্রুত মেইন সুইচ বন্ধের জন্য নিজেই যান।
৩. বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি পেলেও অনেক সময় ব্যক্তির শ্বাস প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। তেমনটা হলে বুকের উপর জোরে চাপ দিয়ে হৃদযন্ত্র সচল করার চেষ্টা করুন।
৪. বিদ্যুতের উৎস থেকে সরানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিকে গরম দুধ এবং গরম পানি খাওয়ান। এতে তার শরীরের রক্ত সঞ্চালন দ্রুত স্বাভাবিক হবে।
৫. বিদ্যুৎ থেকে মুক্তি পাবার পর ব্যক্তির গলা, বুক ও কোমরের কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে।
৬. দ্রুত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন।